চন্দনাইশ প্রতিনিধি
ভয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়েছে চন্দনাইশ উপজেলার ২টি পৌরসভা ৮ ইউনিয়ন। উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় হামুনের তান্ডবে ঘরবাড়ী,দোকানপাট, গাছপালা, বিদ্যুৎ খুঁটিসহ বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এছাড়া গাছ উপড়ে ও ডালপালা ভেঙ্গে গাছবাড়ীয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা বন্ধ ছিল।
পরে ফায়ার সার্ভিস ও দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশের প্রচেষ্টায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে ভয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় হামুন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছের ডালপালা ভেঙ্গে গিয়ে ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ ছাড়াও শতবর্ষী গাছ উপড়ে গেছে, বিদ্যুৎ লাইন বিছিন্ন হয়ে গত মঙ্গলবার থেকে অন্ধকারে রয়েছে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা। গ্রামীণ সড়কে গাছ পড়ে প্রায় সড়ক রির্পোট লেখা পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। হতে উপজেলার কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে মঙ্গলবার রাত ১০টার পর চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া এলাকায় কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়ে মহাসড়কে।
এ সময় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন বলেন, রাতেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরুর পর চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া এলাকায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের ওপর গাছ উপড়ে পড়েছে। সঙ্গে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিও সড়কে পড়েছে। ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমরা গত সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে গাছগুলোর অপসারণ করেছি।
তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর সড়কে পড়ে থাকা গাছপালাগুলো সরিয়ে দেয়ার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় চন্দনাইশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ঘুর্ণিঝড়ে বিভিন্ন গাছপালা উপড়ে গেছে,কিছু ঘরবাড়ীর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।