১৪ দলীয় জোট নেতা ও ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি বলেছেন, অদৃশ্য করোনা আল্লাহর গজব। এটি পৃথিবীকে তছনছ করে দিয়েছে। করোনা বিস্তার রোধে ফটিকছড়ি মাইলফলক হয়ে থাকবে। সারা দেশে চিন্তা করার আগেই আমরা বিস্তার রোধে পদক্ষেপ নিয়েছি, জনগণের সহযোগিতায় করোনা হাসপাতাল করেছি।
তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে কোভিড-১৯ গণটিকা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক একেকবার একেক সিদ্ধান্ত জানিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করা হচ্ছে। এহেন কর্মকান্ডে আমার মনে হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছেন। সে কারনে জনপ্রতিনিধিরাও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছি। কারণ- বিভিন্নধর্মী প্রতিষ্টান,গ্রামে মাইকিং করে গণটিকা নিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করায় টিকা নিতে মানুষ ব্যাপক হারে উপস্থিত হতে চলেছে। দেখলে মনে হয় নির্বাচনী উৎসব। করোনার সময় ভিন্ন কথা বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিব্র্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করছে। আমি আশা করি- সকলের সাথে পরামর্শ করে পদক্ষেপ নেয়া হবে; যেটি অপরিবর্তিত থাকবে। এর ব্যতায় হলে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে আমরা জনপ্রতিনিধিরা দায়-দায়িত্ব নেব না।
তাই আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করবো- স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ব্যাপারে চিন্ত-ভাবনা করা উচিত এবং অতীব জরুরী। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
তিনি ৭ আগষ্ট শনিবার সকালে ফটিকছড়ির ধর্মপুর ও রোসাংগিরীতে ইউনিয়ন পর্যায়ে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন।
উপজেলা নির্বাহী মোঃ মহিনুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হোসাইন মোঃ আবু তৈয়ব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নাবিল চৌধুরী, ফটিকছড়ি থানার ওসি মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলাম রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মূহুরী।
বক্তব্য রাখেন, ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম, রোসাংগিরী ইউপি চেয়ারম্যান সোয়েব আর সালেহীন, জাফতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল হালিম, আব্দূল্লাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ অহিদুল আলম প্রমূখ।