আরমান হোসেন,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় গত এক মাসে মন্দির লোপাট, দান বক্স,গরু চুরি,দোকান চুরি,ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল চুরির হিড়িক পড়েছে।
জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল থেকে আনোয়ারায় প্রায় ১০টির মত মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে অভিনব কায়দায় মন্দির থেকে পূজার জিনিসপত্র ও অর্থ লোপাট করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা গ্রামের কালী মন্দির চুরি । গত ২৬ মে দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় একই রাতে চারটি মন্দিরের দানবাক্স চুরি। এছাড়াও উপজেলার আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের শীতলা মন্দির চুরি ও বারশত ইউনিয়নের মন্দির চুরির ঘটনা রয়েছে। এসব ঘটনায় লুপাট হয় মন্দিরের ধর্মীয় পূজার বেশ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র ও নগদ অর্থ।এছাড়া বটতলী থেকে গরু চুরি ও ঘরবাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে।
মন্দির চুরির ঘটনার সাথে জড়িতের অভিযোগে শনিবার (২৯ মে) মধ্যে রাত থেকে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ। আটককৃত আসামীরা হলেন, উপজেলার ৬নং বারখাইন ইউনিয়নের শিলাইগড়া গ্রামের মো. হাসান (৩৫) ও শোলকাটা গ্রামের মো. মনির (২৩)।
থানা সূত্রে জানা যায়, মন্দির চুরির ঘটনায় হাসান ও মনির নামের দুইজনকে আটক করে পরে পুলিশ। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে অভিযান চালিয়ে শোলকাটা-তৈলারদ্বীপ সড়কের পাশের ঝুপড়ি থেকে আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের ধানপুরা এলাকায় কালী মন্দির ও শীতলা মন্দির থেকে চুরি হওয়া মালামালের পিতলের কলস, পিতলের করাই, শিব লিঙ্গ, খাসা, পিতলের ঘন্টা, পিতলের দূর্গা মুর্তি, তামার খাসা ও তামার খুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
এবিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি (তদন্ত) সৈয়দ ওমর ফারুক জানান, মন্দির চুরির অভিযোগের ভিত্তিতে দুই চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দুটি মন্দিরের চুরি হওয়া বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।