চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশে কাসমিন আক্তার নিশাত (১৮) নামের এক গৃহবধুর নিখোঁজের ৫দিন পরও খোঁজ মিলছে না। এ নিয়ে নিখোঁজ গৃহবধুর পরিবারে চলছে কান্নার রোল। ১৭ এপ্রিল রাতে নিখোঁজের পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করার ৫দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনোও গৃহবধুর কুলকিনারা বের করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন অভিযোগের বাদী গৃহবধুর মা মনোয়ারা বেগম।
জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার বরকল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহের মিয়ার বাড়ীর আহমদ নবীর পুত্র ৩ সন্তানের জনক প্রবাসী জুলফিকার আলী ভুট্টো তার প্রথম স্ত্রী কাজী লাকি আকতারের সাথে জুলফিকার আলীর পারিবারে সাংসারিক অসান্তির সৃষ্টি হলে প্রবাসী জুলফিকার আলী বিদেশ থেকে এসে ২য় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এসময় পরিবারের সবাইকে রাজী করলেও তার প্রথম স্ত্রী অমতে জুলফিকার আলীর পরিবারের লোকজনের সহযোগীতায় ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ৮ লক্ষ টাকা কাবিনের মাধ্যমে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারী একই উপজেলার কানাইমাদারী আদর্শ পাড়া এলাকার মৃত ছালেহ আহমদের ছোট কন্যা কাসমিন আক্তার নিশাতের সাথে উভয়ের পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তবে তাদের বিয়ের পর তারা দু’জন জুলফিকার আলী ভুট্টোর বোনের বাড়ীতে উঠেন। পরে জুলিফিকার আলী ভুট্টোর ১ম স্ত্রী কাজী লাকি আকতার তার ২য় স্ত্রীকে মেনে না নিলেও পরবর্তীতে মেনে নিয়ে জুলিফিকার আলী ভুট্টোসহ তার ২য় স্ত্রীকে ঘরে তুলে নেয়। এভাবে কয়েকদিন চলে যাওয়ার পর বিয়ের একমাস পর ৭ ফেব্রæয়ারী জুলফিকার আলী দুইজন স্ত্রীকে তার বাড়ীতে রেখে বিদেশ চলে যায়। জুলফিকার আলী বিদেশ চলে যাওয়ার কিছুদিন পর থেকে তার ১ম স্ত্রী ও ২য় স্ত্রীর সাথে নানা বিষয়ে মতপ্রাথক্য দেখা দিলে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত।
গত ১৭ এপ্রিল রাত ১১ টায় কাসমিন আক্তার তার শাশুড় বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়। পরে সবাই সম্ভাব্য নিকটস্থ আত্মীয় স্বজনের কাছেও খুঁেজ না পেয়ে ১৮ এপ্রিল কাসমিন আক্তার নিশাতে মা মনোয়ারা বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী দায়ের করেন। তবে কাসমিন আক্তারের মায়ের দাবী নিখোঁজের পরদিন একটি নাম্বার থেকে ফোন করে নিশাত বলে মা আমি নিশাত এ বলার পর মোবাইলের কলটি কেটে যায়। পরে তার মোবাইল ফোনটি আর সংযোগ পায়নি।
বিদেশে থাকা নিশাতে স্বামী জুলফিকার আলী ভুট্টোর সাথে মুটো ফোনে কথা বলে জানা যায়, নিশাত নিখোঁজ হওয়ার পরদিন তার শাশুড়ী মনোয়ারাকে ফোন করেছিল যে নাম্বারে সে ফোনে ভুট্টো কথা বলে দেখে সে নাম্বার তার নতুন বাড়ী নির্মাণের মেস্ত্রী আলাউদ্দীনের।
তার সন্দেহ আলাউদ্দীনের সাথে তার প্রথম স্ত্রীর যোগসাজসে তার ২য় স্ত্রী নিশাতকে অপহরণ করেছে। তাদের দু’জনকে পুলিশ আটক করলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এদিকে মেয়ের মায়ের দাবী তার মেয়ে নিশাতকে তার সতিন অপহরণ করেছে। জীবত নাকি মৃত তার মেয়ে কোথায় আছে কেমন আছে এবং তার মেয়েকে ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানার এ অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাজাহার নিখোঁজের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, যে মোবাইল নাম্বারগুলো পাওয়া গেছে সে নাম্বারগুলো বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে এবং উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে।