চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক চার লাইনে উন্নীত করণে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা না পাওয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিরুদ্ধে মহাসড়কে বরুমতি ব্রীজের উত্তর পাড়ে গাছবাড়ীয়া অংশে নিজ জায়গায় দাঁড়িয়ে সাদা কাপনের কাপড় পরিধান করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রবাসী নজরুল ইসলাম প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এসময় তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট ভূমি অধিগ্রহন শাখা তাকে ৮ ধারার নৌটিশ দেওয়ার পরও গত ৩ মাস ধরে ঘোরাঘুরি করলেও অধিগ্রহণের প্রায় ২১ লাখ টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেন।
জানা যায় ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক চার লাইনে উন্নীত করার জন্য সড়কের দু‘পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জমি অধিগ্রহণ করেন। ২০২০ সালে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরুর পূর্ব মুহুর্তে¡ অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য মালিকদের নিকট পৌঁছে দিলেও কতিপয় জমির মালিক অদ্যবধি তাদের অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা পায়নি। অথচ টাকা না পেলেও সড়ক নির্মাণ সংস্থার নিকট কর্তৃপক্ষ জমি বুঝিয়ে দেন। এখন বুঝিয়ে নেওয়া জমির উপরে রাতদিন দ্রæত সড়ক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। ভুক্তভোগী একজন উপজেলার গাছবাড়ীয়া এলাকার প্রবাসী নজরুল ইসলাম ৩০ বছর ওমানে থাকার পর ৪ মাস পূর্বে দেশে ফিরেন।
আসার পর থেকে সরকারি পক্ষ থেকে অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভূমি অধিগ্রহণ বিভাগ থেকে নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ নিয়ে প্রায় ২ মাস যাবত তার অংশের টাকা পাওয়ার জন্য অনেক দৌড়াদৌড়ি করলেও অদ্যবধি ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে টাকা পাননি। এর প্রতিবাদে গাছবাড়ীয়া সড়ক নির্মাণে তার জমির উপরে ঘিরা বেড়া দিয়ে কাপনের কাপড় পরে নিজের স্ত্রী পুত্র ও পরিবার পরিজন নিয়ে প্রতিবাদে সড়কের উপর শুয়ে পড়েন।
এই দৃশ্য চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে যাতায়তকারী যাত্রীবাহি গাড়ীর যাত্রীদের ও পথচারীদের দৃষ্ঠি এড়াতে পারেননি। এ সময় উৎসখ্য জনতা ভীড় করেন। এব্যাপারে ক্রসবর্ডার সড়ক নির্মাণের অফিস সহকারি শাহাদাত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা মালিকদের প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট প্রদান করা হয়। টাকার যাবতীয় লেনদেনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাইতেছে।