চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশে শ্রমিক দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাতবাড়িয়াস্থ “মেসার্স সাতবাড়ীয়া ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারার্স” (এস.বি.এম) নামে একটি ইটভাটা মালিকের ১৮ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক নেতা নুরুল হুদা মাঝি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি শ্রমিক সরবরাহ সংগঠনের নেতা নোয়াখালী জেলার করমুল্ল্যা বাজার এলাকার মৃত তরিক উল্লাহর ছেলে।
ইটভাটা মালিক হাজী আছহাব মিয়া জানান, এসবিএম নামে তার একটি ইটভাটায় ২৬-৬-২০১৮/১৯ সালে ৪৫ জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকার অগ্রিম চুক্তি করে নুরুল হুদা মাঝি, পরবর্তীতে আরোও ৪লক্ষ টাকা নেন নগদে ও ব্যাংকের মাধ্যমে নুরুল হুদা মাঝি । সেদিনই নগদ ১০ হাজার টাকা আদায় করে তার কাছ থেকে। পরে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বাকি টাকা দেন ভাটা মালিক। পরে নুরুল হুদা নামে ওই শ্রমিক মাঝি আর শ্রমিক না দিয়ে টাকাগুলো আত্মসাৎ করেন। পরে এনিয়ে নোয়াখালী ব্রিকফিল্ড মাঝি সমবায় সমিতির সাথে সালিশি বৈঠক হয় ১৩-১১-২০১৮ সালে । বৈঠকে ভাটার মালিক হাজী আছহাব মিয়ার কাছে টাকা দেওয়ার চেক সহ যাবতীয় ডকুমেন্ট জমা নেয় নেতৃবৃন্দরা। পরে পাওনা টাকা ফেরত দিলে ডকুমেন্ট ফেরত দেওয়া চুক্তি করে তারা। সেই থেকে এ পর্যন্ত নোয়াখালী আর চট্টগ্রামে দৌঁড়াতে থাকলেও তিনি আর টাকা ফেরত পাননি। শেষ পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম আদালতের অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দেন বিগত ১৭-২-২০২০ তারিখে। এতোসব করেও টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশাসনের।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালি ব্রিকফিল্ড মাঝি শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, নুরুল হুদার থেকে টাকা আদায় করতে তারা অপারগ। আসহাব মিয়ার ডকুমেন্ট ফেরত নেয়ার জন্য সভাপতির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. আইয়ুব, মো. রায়হান প্রমুখ। ইটভাটা মালিক হাজী আছহাব মিয়া টাকা ফেরৎ পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ সর্বমহলের সহযোগিতা কামনা করেন।