এসএম রাশেদ
চন্দনাইশে প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার (৬ জুলাই) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কিটের মাধ্যমে ২০ জন রোগীকে তাৎক্ষণিক নমুনা পরীক্ষার পর ১০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন, চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন হোসাইন চৌধুরী।
তিনি আরো জানান চন্দনাইশে গত ৬ দিনে ৭২ জনের করোনা পরীক্ষায় ৩৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত চন্দনাইশে প্রায় সাড়ে ২২’শ করোনা পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে ৫’শ জনের মত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক জরুরী সভা উপজেলা অডিটিয়াম হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজা জেরিন, চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা প্রমুখ।
এসময় চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী সমিতি ও সিএনজি সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম বাজার সমিতি ও সিএনজি সমিতির নেতৃবন্দকে বৈশ্বিক মহামারী থেকে রক্ষা পেতে সরকারী দিকনির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানান।
লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে গত ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩৩ টি মামলায় ১৬ হাজার ৯’শ টাকা ৪০ জরিমানা আদায় করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া ইসলাম উপজেলার বরকল ও মৌলভীবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পথচারী মাস্ক পরিধান না করায়, অপ্রয়োজনে মোটর বাইক ব্যবহার ও যন্ত্রচালিত যানবাহন চালানোর কারণে চালকসহ ৭টি মামলায় ৭ জনকে ১ হাজার ৭’শ ৯০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্নস্থানে মাস্ক বিতরণও করা হয়।