চন্দনাইশ প্রতিনিধি
দোহাজারীতে রুবি আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধুর হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ২৭ নভেম্বর ভোরে উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দিয়াকুল আদর্শ গ্রাম এলাকায় ঘটে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, দোহাজারী পৌরসভার আদর্শ গ্রামের জগীর হোসেনের পুত্র মহিউদ্দীন (২৮) এর সাথে বাঁশখালী উপজেলার টানাব্রীজ এলাকার রাজা মিয়ার পুত্র রুবি আক্তার (২২) সাথে ২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারী ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে আয়েশা আক্তার নামে ৮ মাসের এক কন্যা শিশু রয়েছে। ঘটনার ৩দিন আগে থেকে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা চালক মহিউদ্দীন ও তার স্ত্রী রুবি আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে দ্ধন্দ চলে আসছিল। কিন্তু ঘটনার আগের দিন ২৬ নভেম্বর বিকালে মহিউদ্দীন তার স্ত্রী রুবিকে মারধরও করেন।
স্থানীয় ওয়ার্ডের সহায়ক সদস্য ইস্কান্দর মিয়া বলেন, মহিউদ্দীন ও তার স্ত্রী’র সাথে পারিবারিক দ্ধন্দের জন্য রুবি গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ও রাতে অনাহারে থাকেন। শুক্রবার ভোরে রুবির ৮ মাসের শিশু কান্না করলে পরিবারের সবাই জেগে উঠে। এসময় রুবি আক্তারকে খোঁজাখুজি করলে এক পর্যায়ে বাথরুমের গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় দেখে রুবিকে শ্বাশুড় বাড়ীর লোকজন উদ্ধার করে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে নিহত মহিলার গলার একপাশে ও দুই গালে দাগ রয়েছে। তবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে সন্দেহ বিরাজ করছে।
দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহত গৃহবধুকে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত গৃহবধুর পিতা বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি বলেন। তবে ময়নাদন্তের রির্পোট আসলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।