চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ
দোহাজারী জামিজুরী আহমদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ বাহারুল আলমের হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক ফাঁসির দাবীতে ১০ আগষ্ট (মঙ্গলবার) সকালে নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবারবর্গ।
সাংবাদিক সম্মেলনে কান্নাজড়িত কন্ঠে বক্তব্য রাখেন, মামলার বাদী ও নিহতের ছোট ভাই আকতারুল আলম, নিহতের স্ত্রী কামরুন নাহার, কন্যা যথাক্রমে- তসলিমা বেগম সাজনিন, উম্মে হানি তানিন, উম্মে হাবিবা আইরিন, উম্মে ছালমা নওশিন, ভাতিজা কাউছার আলম, ভাগিনা নুরুল আলম, রফিক মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, বড় ভাইয়ের ছেলে আহমদুর রহমান রিপন, রহিম উদ্দিন রহমান, বড় মেয়ের জামাতা মুফতি নাছির উদ্দীন, ২য় মেয়ের জামাতা ফয়সাল প্রমূখ। সাংবাদিক সম্মেলনে কান্নাজড়িত কন্ঠে তাঁরা বলেন, “ওই দিনের ঘটনায় পুলিশ তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আরো কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটে যেতো। পুলিশ তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় অবশ্যম্ভাবী আরো কয়েজনের প্রাণহানি এড়ানো গেছে। এঘটনায় মামলার এজাহারনামীয় একজন আসামী গ্রেফতার করায় পুলিশ প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করে অবশিষ্ট আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। অপরদিকে আসামীগণ মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধামকি প্রদান করে আসছেন বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, দোহাজারী পৌরসভার উত্তর চাগাচর ফুলতলা ফজর আলী খাঁন জামে মসজিদের সামনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৪ আগস্ট (বুধবার) বিকালে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন দোহাজারী জামিজুরী আহমদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বাহারুল আলম (৬৫)। এঘটনায় ওই দিন রাতে ওই এলাকার মৃত মাহাবুবুল আলমের পুত্র খোরশেদ আলম (৪০),শহিদুল আলম (৩৭),মোঃ মোরশেদুল আলম (৩৫), মৃত মফজল আহমদের পুত্র আসহাব উদ্দীন (৫০) ও মোঃ ইব্রাহীমের পুত্র ওবাইদুল আকবর টুটুল (৪৫) কে আসামী করে নিহতের ছোট ভাই আক্তারুল আলম বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ সৈয়দ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম নামে এজাহারনামীয় একজনকে আটক করে পরদিন আদালতে প্রেরণ করেন।
নিহত শিক্ষক বাহারুল আলম দোহাজারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বিলুপ্ত দোহাজারীর সাবেক চেয়ারম্যানের পুত্র।