১৪.৫.২০২০,১২:৪৫পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বৃহস্পতিবার (১৪ মে) গণভবন থেকে এ সহায়তার জন্য ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতি পরিবারে চারজন সদস্য ধরা হলে এই নগদ সহায়তায় উপকারভোগী হবে অন্তত দুই কোটি মানুষ। এই টাকা উত্তোলন করতে ভাতাভোগীদের কোনো খরচ দিতে হবে না জানান সরকার প্রধান। বুধবার (১৩ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিদিন ১০ লাখ মানুষ নগদ সহায়তা পাবেন এবং মোট তহবিলের মূল অংশ ১৪ -১৮ মে এর মধ্যে বিতরণ কার্যক্রম চালাতে হবে।
যারা ভাতা উপকারভোগীদের তালিকায় রয়েছেন কৃষিশ্রমিক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহন শ্রমিক ও হকারসহ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেওয়া লকডাউন বা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্নআয়ের বিভিন্ন পেশাজীবি রয়েছেন। জেলা, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র, মেম্বার, শিক্ষক, সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিদ্বয়ের মাধ্যমে গঠিত সমন্বয়ের মাধ্যমে এ নগদ সহযোগীতার তালিকা তৈরী করা হয়। এছাড়া সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সহায়তা ভিজিএফ কার্ডসহ পাওয়া মানুষগুলোর বাইরে এই ৫০ লাখ পরিবারকে এই নগদ অথ সহায়তা দিবে।
এর মধ্যে আরো রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা।
উল্লেখ্য, মোবাইল ব্যাংকিং/অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্বলিত বোতাম ছেপে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ সালের শিক্ষার্থীদেও টিউশন ফি ও উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা।