চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ
স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে উন্নয়নের মডেল হিসেবে রূপ নিয়েছে। যারা এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলতেন, তারাই এখন বলছেন, উন্নয়নের চিত্র দেখতে হলে বাংলাদেশে যেতে হবে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতার বিশ্ব নেত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী দেশ হিসেবে রূপ নেবে।
রবিবার (২৮ মার্চ) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিব শতবর্ষ, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ উত্তোরণ উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান মালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী, চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী, এড. কামেলা খানম রুপা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজা জেরিন, চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার, দক্ষিণ জেলা আ.লীগ সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহিন হোসাইন চৌধুরী, মহিলা আ.লীগরনেত্রী সঞ্চিতা বড়ুয়া। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, চেয়ারম্যান যথাক্রমে আমিন আহমদ চৌধুরী রোকন, আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী, আনোয়ার মোস্তফা চৌধুরী দুলাল, দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, যুবলীগের আহবায়ক তৌহিদুল আলম, কৃষকলীগ নেতা নবাব আলী, আ’লীগ নেতা আবুল কাশেম বাবলু, সিরাজুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউন নবী, কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আরিফুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আ.ন.ম সালাহ উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গীতা চৌধুরী , মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, পৌর যুবলীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, এড. দেলোয়ার হোসেন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগরসহ-সভাপতি মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা ইন্সট্রাক্টর আকতার সানজিদা জাফর পপি ও তথ্যসেবা কর্মকর্তা শাপলা খাতুন।
প্রথম ২ দিনব্যাপী মেলায় ৪৭ টি স্টল মেলায় স্থান পায়। স্টল নিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে তিনটিকে পুরস্কৃত করা হয়। এতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবার প্রথম স্থান, উপজেলা শিক্ষা ও রিসোর্স সেন্টার দ্বিতীয় স্থান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৃতীয় স্থান অধিকার করায় ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তাছাড়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ৫০ জন অসহায় মহিলাকে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন, কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ, খামারীদের মাঝে ঔষধ ও গবাদি পশুর খাবার বিতরণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।