রফিকুল আলম
চট্টগ্রামে ইটভাটা নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান ফটিকছড়ি ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ৪ মার্চ সকাল ১১টায় ফটিকছড়ি ইটভাটা মালিক সমিতি ও শ্রমিকদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের ফটিকছড়ি বাস স্টেশন চত্বরে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অর্ধ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে কয়েক হাজার শ্রমিক মানব বন্ধনে অংশ গ্রহন করেন বিভিন্ন ধরনের পেষ্টুন হাতে নিয়ে । এসব পেষ্টুনে ” ইট ভাটা বন্ধ হলে হুমকিতে পড়বে” গ্রাম হবে শহর” প্রকল্প ও অগ্রিম টাকা নিয়ে কাজ করে ইট ভাটার শ্রমিকরা । মানব বন্ধন শেষে বাস ষ্টেশনস্থ মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের সামনে ফটিকছড়ি ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,আমিনুল হক কোম্পানী, নাছির উদ্দিন কোম্পানী,রেজাউল করিম চৌধুরী,জয়নাল আবেদিন কোম্পানি,সাইফুল্লাহ জনি কোম্পানী,জুলফিকার আলি কোম্পানী,মোহাম্মদ শাহেদ কোম্পানী ও রাশেদ কোম্পানী প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলায় ৪০টির অধিক ইটভাটা আছে। এসব ইটভাটাতে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। এ থেকে প্রতি বছর সরকার কোটি টাকা ভ্যাট পায়। এ ছাড়া স্থানীয় কর, ভূমিকর, ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর ও স্থানীয়কর দিয়ে ইটভাটাগুলো জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
সারা বাংলাদেশে ইটভাটা থাকলেও শুধুমাত্র চট্টগ্রামের ইটভাটা বন্ধে রিট দায়ের উদ্দ্যেশ্যমূলক। ইটভাটাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে মালিকরা ঋণ গ্রস্থ হয়ে পড়বে ও হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে হয়ে যাবে। শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করবে। দেশে উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে লাইসেন্সসহ পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা গড়ে তোলতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা।
বক্তরা আরো বলেন ঠিকাদাররা টেন্ডারের কাজ ও স্থানীয়রা ঘর বাড়ী সহ নানা ধরণের স্থাপনা করতে পারবে না, ফলে সরকারী বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। সে সাথে এলাকার খেটে খাওয়া দিন মজুর ও শ্রমিকরা বেকার হয়ে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করতে হবে।