রফিকুল আলম
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ডুবাই প্রবাসী আলমগীর (৪৫)ও জাহাঙ্গীর(৩৫) দুই ভাইকে উত্তেজিত জনতা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এর আগে নিহতদের আক্রমনে আরো কয়েক জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ ফটিকছড়ি জাফতনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছমদ বাড়ীতে (তেলপারই) এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা জনৈক মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র।
জানা যায়,প্রবাসী রেজাউল করিমের স্ত্রী নিগার সুলতানার সাথে অন্য জনের সাথে সম্পর্কের জের ধরে দীর্ঘদিন পরিবারে কলহ চলে আসায় করিম তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে,করিমের পারিবারিক কলহটি একপর্যায়ে সামাজিক কলহে রুপ নেয়। সমাজচ্যুতও করা হয় ওই পরিবারকে। এদিকে নিগার স্বামীর বসত ঘরে অবস্থান করতে থাকে। এঅবস্থায় গত সপ্তাহে প্রবাস হতে তারা ৪ জন দেশে আসলে ও বাড়ীতে আসেনি। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে করিম ও তার ৩ ভাই সহ বাড়ীতে এসে গৃহবধু নিগার সুলতানার সাথে প্রেমের সম্পর্কের বিষয় নিয়ে স্বামী রেজাউল করিম সহ তার তিন ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে রেজাউল করিম তার স্ত্রী এবং মেয়েকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা শুরু করলে নিগার সুলতানা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসে।
এ ঘটনা দেখে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে রেজাউল করিম সহ তার তিন ভাই। এসময় তাদের হামলায় স্ত্রী নিগার সুলতানা ও তাঁর কন্যা নাজিফা,প্রতিবেশী আফাজ উদ্দিন,বোরহান উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন ও জাহেদুল আলম আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে রেজাউল করিম ও রাসেল পালিয়ে বাঁচলেও আলমগীর ও জাহাঙ্গীরকে স্থানীয় জনতা কুপিয়ে হত্যা করে। জাফতনগর ইউপি চেয়ারম্যন জিয়া উদ্দিন জিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ ঘটনায় আমি মর্ম্মাহত। ফটিকছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর মো: সালে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বলেন,পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। এখন ঘটনা স্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যাব।