রফিকুল আলম
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন হাসনাবাদ রেঞ্জ অফিসের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা জনবল নিয়ে রাবার বাগানের ভিতর এক ব্যক্তির কয়েক বছর আগে করা চাউনি বিহীন একটি সেমি পাকা ঘর রহস্য জনক ভাবে গুড়িয়ে দিয়েছে। অথচ গুড়িয়ে দেওয়া ঘরের তিন দিকে সেমি পাকা ও মাটির তৈরী বহু বসত ঘর রয়েছে। জানা যায়, উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের পশ্চিম মনুয়ার খিল গ্রামের জনৈক সেনু মিয়ার প্রবাসী ছেলে মনু মিয়া ৪/৫ বছর আগে সেমি পাকা ঘর করার জন্য কাজ শুরু করে অর্ধেক কাজ টাকার অভাবে আর করতে পারেনি। সম্প্রতি দেশে আসার পর ঘরের বাকী কাজ শুরু করার মূহুর্তে হাসনাবাদ রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ জনবল নিয়ে গত ১৯ জানুয়ারী ঘরটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। মনু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার নিকট ১ লাখ টাকা দাবী করে ছিল।
টাকা দিতে না পারায় আবদুল কুদ্দুছ আমার ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। ঘর ভেঙ্গে যাবার সময় ইট ও ঘরের কাজে ব্যবহার করার জন্য নিয়ে আসা সাইজ করা কাঠ(তকতা) গুলো নিয়ে যায়। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৪০/৪৫ কিলোমিটার দূরে সরেজমিনে উক্ত স্থানে গেলে দেখা যায়, আশ-পাশে ফরেষ্ট বাগানের কোন চিহৃ নেই। যে দিকে থাকায় শুধু দেখা যায় তাঁরাকো রাবার বাগান। আর গুড়িয়ে দেওয়া ঘরের ৩ দিকে আরো বহু বসত ঘর রয়েছে। স্থানীয় সিরাজ ও অনুজা সহ অনেকে বলেন, রাবার বাগানের ভিতর ফরেষ্ট লোক এসে ঘরটি গুড়িয়ে দিয়েছে।
কেন গুড়িয়ে দিয়েছে, তা রহস্য জনক ! এব্যাপারে হাসনাবাদ রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছের নিকট মুটো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে জায়গায় ঘর হচ্ছে, জায়গাটি রিজার্ভ ফরেষ্টের ভিতর পরেছে।
ঘরের মালিক কয়েক বছর আগে ঘরের কাজ অর্ধেক করে ছিল। তিনি অপর প্রশ্নে জবাবে বলেন, রাবার বাগান ও ফরেষ্ট জায়গায়। তাহলে রাবার বাগানের লোকজন যে, সীমানা দিয়েছে তার বাইরে আরো ঘর আছে ; মনু মিয়া যে ঘর করছে সেখানে তো ফরেষ্ট বাগান নেই, রাবার বাগানের সীমানার বাইরে এমন প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন,এখন আবার কাজ করতেছে বলে বিভাগীয় দপ্তরের নির্দেশে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য ফটিকছড়ির অধিকাংশ সরকারী বন বাগান এখন মরু ভূমিতে পরিণত হচ্ছে। প্রতিটি বাগানের ভিতর রয়েছে শত শত বসত ঘর।