রফিকুল আলম :
সম্প্রতি পাহাড়ি ঢল আর অতি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানি বন্দি হয়ে পড়ে ৩ লাখের অধিক মানুষ। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় শত শত মানুষের ঘরবাড়ি,ফসলী জমি, সড়ক-মহাসড়ক, ব্রিজ-কালভার্ট, বৈদ্যুতিক খুঁটি,মৎস্য খামার ও পোল্ট্রিসহ মানুষের জান-মালের। শুধু সড়কে দুইটি দপ্তরের ক্ষতি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার উর্ধে। তাছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় শত বছরের পুরাতন বহু মাটির ও বাঁশের বেড়ার ঘর বিলিন হয়ে গেছে। চলমান বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত উপজেলা এলজিইডির প্রাথমিক তথ্য বিবরনীতে বলা হয়েছে, উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার ১৪৩টি সড়ক,৩০টি ব্রিজ,১২০টি বক্স কালভার্ট,৭৪ টি স্লাব কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের প্রায় ২২ কি.মি. উপজেলা সড়ক,৩৭ কি.মি. ইউনিয়ন সড়ক,২৬৮ কি.মি. গ্রামীণ সড়ক রয়েছে। এছাড়া একাধিক সড়ক পানিতে নিমজ্জিত থাকায় সম্পূর্ণ উপজেলার তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি বলেও বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়। এদিকে,অতিবৃষ্টিজনিত বন্যা ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিতে বিভিন্ন স্থানে সড়ক তলিয়ে যায়। আকস্মিক বন্যায় পানির তোড়ে অনেক সড়কের সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে ডুবে যায়। ধসে পড়ে একাধিক সড়কও বাঁধ। বিভিন্ন সড়কের উপরিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্র জানায় ব্রিজ,কালভার্ট,ছোট-বড় কার্পেটিং ও ব্রিক সলিংসহ সব মিলিয়ে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন ৪টি সড়ক ও ১০টি কালভার্টসহ সব মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন,বর্তমানের তথ্যটা সাময়িক।বিভিন্ন এলাকায় এখনো পানি রয়েছে। বন্যার পানি ২/৩ দিনের মধ্যে চলে গেলে চুড়ান্ত ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা করতে পারব।