চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার শতবর্ষী কওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-জামিয়াতুল আরবিয়া নছিরুল ইসলাম (নাজিরহাট বড়) মাদ্র্রাসার উদ্ভুদ সংকট নিরসন ও সরকারের অবস্থান নিয়ে গতকাল রবিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফটিকছড়ির সাংসদ আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। সংবাদ সম্মেলনে পূর্বে নির্ধারিত আগামী ২৮ অক্টোবর শূরার বৈঠক অনুষ্টিত হবে বলে জানান। বৈঠকে শীর্ষ আলেমগণ যে সিদ্ধান্ত নেবেন সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদ্রাসার পরিচালক নিয়োগ সহ পরবর্তী সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এতে আমাদের সরকার ও প্রশাসন সহযোগীতা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এ ব্যাপারে আমার আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাকে দায়িত্বে নিয়ে শুরা কমিটির বৈঠক আয়োজনে যা যা করার প্রয়োজন তা করতে বলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংসদ আরো বলেন,সমস্ত কওমী মাদ্রাসা নিয়ে আমার অবস্থান। এ নিয়ে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি শূরা কমিটির বাইরে গিয়ে কোন কিছু করলে ; তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন,বর্তমান সরকার কওমী সনদ দিয়েছে; সরকার কওমী মাদ্রাসার সাথে আগে ও ছিল এখনো আছে থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফিন,ফটিকছড়ি থানার ওসি মো: বাবুল আকতার, নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজ উদ দৌল্লা,শূরা মমিটির সদস্য আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, রোসাং গিরী ইউপি চেয়ারম্যান শোয়েব আল সালেহীন সহ পৌরসভার বিভিন্ন কাউন্সিলর, তরিকত নেতা জালাল উদ্দিন প্রমূখ।
উল্লেখ্য গত শনিবার(২৪ অক্টোবর) এক পক্ষের সংবাদ সম্মেলন করে মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালক (দাবীদার) মাওলানা মুহাম্মদ ছলিম উল্লাহ বৈধ মুহাতামিম দাবী করে আগামী ২৮ অক্টোবর শুরা বৈঠক প্রতিহতের ঘোষণা দেয়। এ সময় মাদ্রাসার ছাত্রদের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর দু’ পক্ষ প্রায় ৬ ঘন্টা ধরে মাদ্রাসার ভিতর বিক্ষোভ মিছিল চলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন ছাত্র আহত ও হয়। রাতে স্থানীয় সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী মাদ্রাসায় গিয়ে বক্তব্য রাখার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এসময় মাদ্রাসার বাহিরে নাজিরহাট বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়লে অনেক দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকলে সেখানে উপস্থিত হন ফটিকছড়ি থানার ওসি মো: বাবুল আকতার সহ পুলিশ সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। তবু ছাত্ররা তাদের ক্যাম্পাসে মিছিল অব্যাহত রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা অবস্থান নেয়। যা আগামী শূরা বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত থাকবে।