রফিকুল আলম
ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন এলাকায় হালদা নদীর পাড়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার সময় মুহাম্মদ সাকিল (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে থানাধীন সুয়াবিল ইউনিয়নের এক্কুলিয়া হালদা নদীর চরে এঘটনা ঘটে। মৃত যুবক পেশায় মাটি কাটার শ্রমিক। সে সুয়াবিলের লালমাটি হাজী আব্দুল করিম সওদাগর বাড়ির মৃত বেলালের ছেলে।
সূত্র জানায়, সাকেল মাটি কেটে ট্রলি গাড়ি ভরে দিচ্ছিল। মাটি নিয়ে ট্রলি চলে যাওয়ার পর সে মাটি কাটার সময় উপর থেকে মাটি ভেঙে পড়ে তার ওপর। সেখানেই সে মাটিচাপা পড়ে থাকে। পরে ট্রলিতে থাকা শ্রমিকরা এসে তাকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ভুজপুর থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদুল আরেফিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার সারারাত পুলিশ মাটি পাচারকারী সিন্ডিকিটে জডিতদের আটকের জন্য অভিযান চালায়। তিনি আরো বলেন, আমি নিজে রাতে অভিযান করেছি; কোন ভাবেই তাদের দমানো যাচ্ছে না। কাঁচা টাকার লোভ সামলাতে পারছেনা সিন্ডিকেট। হালদা নদীর সিসি ব্লক ও বেড়িবাঁধের ভেতরে অবৈধভাবে প্রায় ২০-২৫টি স্থানে জনৈক মোর্শেদ, রাশেদ ও আলতাফ নামের সিন্ডিকেট মাটি ও বালি কেটে পাচার করছে দীর্ঘদিন যাবৎ।
এক মাস আগে ও ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা ও এক জনকে জেল দেয়া হয়। তবু চলে মাটি পাচার। তাছারা গত ২ দিনে ও উপজেলার পাইন্দং ও নারায়ণ হাট ইউনিয়নে মাটি ও বালি পাচারের অপরাধে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আর মাটি চাপার ঘটনায় নিহতের পরিবারের কেহ বাদী হয়ে মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। মাটি ও বালি পাচারকারীদের ছাড় দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ বলেন, মাটি চোর, বালি চোরগুলোকে বারবার ধরে দিয়েছি। মোবাইল কোর্টে জরিমানা দিয়ে তারা আবার এসে একই কাজ করেছে। এবার আর ছাড় নেই। পুলিশ লাশ উদ্ধার কওে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। যত সিন্ডিকেট আছে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।