ফটিকছড়ি ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানা এলাকায় র্যাব-শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে র্যাব সদস্য ও শ্রমিক সহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় র্যাবের একটি হাইচ ও একটি প্রাইভেট কার ভাংচুর করা হয়। গত ২৭ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকাল ৫ টার দিকে ভূজপুর থানাধীন প্রত্যন্ত এলাকা সুয়াবিল ইউনিয়নের বারমাসিয়া চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, র্যাবের একটি অভিযানিক দল সাদা পোষাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বারমাসিয়া চা বাগানের শ্রমিক ও বাংলা মদের কারবারী চিত্তরঞ্জন (৪৫) কে আটক করতে আসলে বাগানের কিছু শ্রমিক ডাকাত এসেছে বলে পাগলা ঘন্টা (মূলত বাগানের অভ্যন্তরে কোন দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটলে সংকেত হিসেবে এই ঘন্টা বাঁজানো হয়) বাঁজিয়ে দেয়। এ সময় বাগানের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এসে র্যাব সদস্যদের ঘিরে তাদের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে র্যাব সদস্যদের মারধর করে বেশ কয়েকজন উশৃঙ্খল শ্রমিক। এতে ৫ র্যাব সদস্য গুরুতর আহত হয়। এক পর্যায়ে র্যাব-শ্রমিকের হাতাহাতিতে র্যাবের গুলিতে মনতোষ (৫৫) নামে এক শ্রমিকও আহত হয়। আহত র্যাব সদস্যরা হলো, লেপ্টেনেন্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল (৩০), আবদুস ছালাম (৪২), মোস্তাফিজুর রহমান (৩২), শাহীন আলম (৩০), মোমিনুল হোসেন (২৯)। আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেকে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনার সময় বাগানের শ্রমিকরা র্যাবের ব্যবহৃত একটি হাইচ (ঢাকা মেট্রো চ ২৫-৬৭১১), ও ১টি প্রাইভেট কার (চট্টমেট্টো গ ৪৫-২০২৯) ভাংচুর করে।
এদিকে সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে পেরে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও র্যাব সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন র্যাব -৭ এর উপ-পরিচালক মেহেদী হাসান, হাটহাজারী এ এস পি সার্কেল সাহাদাত হোসেন, ভূজপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দীন ফারুকী। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ঘটনার রাতে ১০ টার দিকে র্যাব -৭ এর উপ-পরিচালক মেজর মেহেদী হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। আপনাদের পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’ এরপর তিনি আর কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে ভূজপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দীন ফারুকীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত ঘটনা থানায় কোন মামলা হয়নি।