সৃষ্ট দক্ষিণ বঙ্গোসাগর থেকে ঘুর্ণিঝড় আম্ফান ভয়ংকর রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে। চালাতে পারে ১৪টি জেলায় এর তান্ডব। (১৯ মে) মঙ্গলবার আবহাওয়াবিদ মোঃ আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘূণিঝড় আম্ফানের এমনি তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ করা হয়, ঘুর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষরাত হতে ২০ মে বিকেল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের ৯০ কিমির মধ্যে বর্তমানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিমি পর্যন্ত বাড়ছে। সুপার ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়ে়ছে।এ অবস্থায় মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায়় অবস্থানরত সুপার সাইক্লোন আম্পান উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৭৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান নিচ্ছেন।
উপকূলীয় জেলা বরিশাল, লক্ষ্ীপুর, চাঁদপুর সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরােজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী,ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে় যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার দ্বীপ ও চরগুলোকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট, ঝালকাঠি, সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর নেয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুটের অধিক জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে এ ১৪টি জেলার উপর ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিঃমিঃ বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এটি পশ্চিমবঙ্গে দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার দ্বীপের মাঝামাঝি কোনো স্থান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা নাগাদ।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্তর নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে ও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ থাকতে বলা হয়েছে।
২০২০.০৫.১৯, ১১.৫৫ পিএম