প্রদীপ শীল, রাউজানঃ
রাউজানের ডাবুয়া ইউনিয়নে ১২ শত পরিবারে ইফতার সামগ্রী দিলেন চেয়ারম্যান আবদুর রহমান চৌধুরী লালু। গতকাল ২৪ এপ্রিল সকালে ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যােগে ও চেয়ারম্যান আবদুর রহমান চৌধুরীর ব্যবস্থাপনায় ইফতাফ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে টেলি কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন রেল পথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। চেয়ারম্যান আবদুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য আমীর হোসেন আজাদের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু শীল, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহীম, ইউপি সদস্য শীতল শীল, ইউপি সচিব শওকত হোসেন চৌধুরী। জানা যায়, রাউজান উপজেলা মধ্যে ডাবুয়া ইউনিয়নে সর্বোচ্চ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয় স্থানীয় চেয়ারম্যানের ব্যবস্থাপনায়। অনুষ্ঠানে টেলি কনফারেন্সে রেল পথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ডাবুয়ার চেয়ারম্যানের ইফতার সামগ্রী বিতরণ ইতিবাচক। তিনি এলাকার মানুষের জন্য সবসময় কাজ করেন। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে নিজে বাঁচতে হবে। মানুষে বাঁচাতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকার মানুষের পাশে থাকবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সব ধরনে প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে। বিগত সময়ের মতো কর্মহীন অসহায় মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্য নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে। আমরা ডাবুয়া ইউনিয়নে ৯ শত মানুষকে ৫ শত টাকা করে নগদ টাকা দেওয়া হবে। তিনি ডাবুয়ার চেয়ারম্যানের মতো সমাজের বৃত্তবানদের মানুষের পাশে দাঁডানোর আহবান জানান।চেয়ারম্যান আবদুর রহমান চৌধুরী বলপন, বিগত ২৪ বছর ডাবুয়ার জনগনের জন্য কাজ করেছি। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন মানুষকে আমার ব্যক্তিগত অর্থে ১৮ টন চাউল দিয়েছি। সরকারী চাউল বিতরন করেছি ১৫ টন। এবার রমজানে ১২শত পরিবারকে ইফতার সামগ্রী দিলাম। আগামীতে সরকারী ও আমার ব্যক্তিগত ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে। তিনি বলেন, যেই কোন পরিস্থিতিতে ডাবুয়ার কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। আমি মানুষের পাশে ছিলাম এবং সবসময় থাকবো কথা দিলাম।