চাঁটগাইয়া খবর ডেস্ক
শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মান্যবর প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন যায়েদ আল নাহিয়ান(১৯৪৮-২০২২) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ ১৩ মে, শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্য্যালয় খবরটি জানিয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের জন্ম ১৯৪৮ সালে। ২০১৪ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত সমস্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়েছিলেন তিনি। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি তেমন জনসমক্ষে আসতেন না। আরব আমিরাতের অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় মান্যবর শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে। বাংলাদেশের মহামান্য প্রেসিডেন্ট ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমিরাত প্রেসিডেন্টের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আমিরাতের প্রথম মান্যবর প্রেসিডেন্ট দেশটির প্রতিষ্ঠাতা শেখ যায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের ইন্তেকালের পরে ৩ নভেম্বর ২০০৪ সালে আমিরাতের ২য় প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেখ খলিফা বিন যায়েদ আল নাহিয়ান দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশটির মান্যবর প্রেসিডেন্টে হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
একই সঙ্গে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির ১৬ তম শাসকের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি আমিরাতের প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান এর ১ম সন্তান ছিলেন।
দেশটির সরকার মান্যবর প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে দেশের পতাকা অর্ধনমিত করে ৪০ দিনের রাষ্টীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে। শোক পালনের পাশাপাশি ফেডারেল ও স্থানীয় পর্যায়ে, মন্ত্রণালয়ে এবং সরকারি-বেসরকারি খাতের সংস্থাগুলোর কার্যক্রম তিন দিন বন্ধ থাকবে। দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস সূত্রে জানা যায় , সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান কেন্দ্রীয় ও আবুধাবি সরকার উভয়েরই বড় ধরনের উন্নয়নমূলক পুনর্গঠনে দুঃসাহসিক নেতৃত্ব দেন। তাঁর আমলে দেশটিতে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আমুল পরিবর্তন ঘটে।
মান্যবর প্রেসিডেন্ট হিসেবে খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গুরুত্বপূর্ণ যে কৌশলগত উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেন, যেটির মূলে রাখা হয়েছিল দেশের নাগরিকদের ব্যাপকভাবে জীবনমানের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। রাষ্ট্রের টেকসই উন্নয়ন সফলতা অর্জনে তিনি ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর দেশের প্রতিটি আমিরাতে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেতন ছিলেন।
শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান কয়েক বছর যাবত নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। যার কারণে তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি নানা কার্যক্রম থেকে দূরে থাকতে হয়। আমিরাতবাসীর ন্যায় তাঁর ইন্তেকালে প্রবাসী বাংলাদেশীরাও নানাভাবে শোক প্রকাশ করছেন।