প্রদীপ শীল, রাউজানঃ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার প্রথম কর্মী শহীদ আব্দুল মোস্তাফা হালিমের ৩৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় শহীদ আবব্দুল মোস্তফার নিজ বাড়ি রাউজানে দিনটি পালিত হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উদ্যােগে শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিনে তার স্মরণে দেশের বিভিন্নস্থানে ছাত্রসেনাসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়াও শহীদ হালিম লিয়াকত স্মৃতি সংসদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী যুব সেনা ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা কমিটি ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ রাউজানের দেওয়ানপুর গ্রামে তার মাজার জিয়ারত ও পুষ্পমাল্য অর্পন করতে ছুটে আসে। ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল লকডাউনের সীমিত পরিসরে দিনব্যাপী খতমে কোরআন আদায়, মাজারে পূস্পস্তবক অর্পণ, স্মরন সভা, দোয়া মাহফিল ও মাজার জিয়ারত। এ উপলক্ষে শনিবার শহিদের কবরে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের পক্ষ থেকে প্রথমে পুষ্পস্তক অপর্ণ করা হয়।
পরবর্তিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবসেনা ও ছাত্রসেনা, ,ফুটন্ত ফুলের আসরের কেন্দ্রীয় পর্ষদ, রাউজান উপজেলা (উত্তর+দক্ষিন),রাউজান পৌরসভা, রাউজান ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, রাঙ্গুনিয়া মধ্যম দক্ষিন,হাটহাজারী দক্ষিন, চন্দ্রঘোনা তৈয়্যবীয়া মাদ্রাসা শাখা,রাউজানের আওতাধীন কদলপুর,বাগোয়ান,পাহাড়তলি, পুর্বগুজরা, পশ্চিম গুজরা, নোয়াপাড়া ও উরকিরচর ইউনিয়ন ছাত্রসেনার পক্ষ হতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি ছাত্রনেতা কে এম আজাদ রানার সভাপতিত্ত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল রোমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মরন সভা ও মিলাদ মাহফিল প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলার যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা আমান উল্লাহ আমান। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রসেনার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মুনির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রসেনার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির আহমদ,মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জাবেদ, এনামুল হক মুন্না, কাজী কায়েস উদ্দিন, মুহাম্মদ বোরহান, রাশেদ আলী ইমন, আনিসুল মোস্তফা,রাসেল উদ্দিন মিরাজ,জোনায়েদুল হক,মুহাম্মদ শওকত হোসেন সহ বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক শাখার নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য যে, ১৯৮৪ সনের ১০ জুলাই রাঙ্গুনিয়া উপজেলার তৈয়্যবীয়া অদুদিয়া মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করে এই নেতাকে।