চন্দনাইশ প্রতিনিধি
প্রবাসী নারায়ন দাশ পরিবারের সকলকে হারিয়ে একা ও নিঃস্ব হয়ে গেলেন। স্ত্রী রীতা রানী দাশ, দুই মেয়ে শ্রাবন্তী দাশ ও বর্ষা দাশ এবং যমজ দুই ছেলে দ্বীপ দাশ ও দিগন্ত দাশকে নিয়ে সাজানো–গোছানো সংসার ছিল প্রবাসী নারায়ণ দাশের। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনা তছনছ করে দিল তার সাজানো সংসারটি। ঘাতক বাস মুহূর্তেই কেড়ে নিল তার স্ত্রী ও চার ছেলেমেয়ের তরতাজা প্রাণ।
এখন তার পরিবারে আর কেউ রইল না। স্ত্রী,সন্তানের মৃত্যু খবর শুনে দেশে বাড়ীতে এসে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। বলতে গেলে নারায়ন এখন একবারে নিঃস্ব ও একা। নারায়ন দাশ ৩ ভাই তিন ভাইয়ের মধ্যে নারায়ন দাশ সবার ছোট তার মধ্যে মেজ ভাই শম্ভু প্যারালাইসিস বড় ভাইও বয়সের ভারে নাজুক অবস্থা। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ নারায়ন দাশের মেজ ভাই প্যারালাইসিস শম্ভু দাশের সংসারও। তার স্ত্রী, তিন ছেলের মধ্যে একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিল বিপ্লব দাশ (৩০)। বিপ্লব ঘটনাস্থলে নিহত হওয়ায় তাদের সংসারের আয়–রোজগারের পথও বন্ধ হয়ে গেল। কাঞ্চন বালা দাশ (৪৫) ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায়।
চন্দনাইশ তথা জোয়ারা ইউনিয়নের মানুষ ৭ নভেম্বর হাটাজারীতে চন্দনাইশের এক পরিবারের ৭জন নিহতের এ রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হবেন তা কেউ কল্পনাও করেননি। গত ৭ নভেম্বর নারায়নের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে নিয়ে হাসি খুশিতে দাদীর অন্তোষ্টিক্রিয়ায় যাচ্ছিলন। কিন্তু দুপুরে সব হাসি-খুশি এক সাথে শেষ হয়ে যাবে তারা কি জানত। এটাই তাদের শেষ বেড়ানো।